তরিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
একুশেনিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীসহ প্রবাসের সকল পাঠক, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
“এসো হে বৈশাখ, এসো হে নতুন বছর ১৪৩২!”
মুছে যাক পুরনো বছরের সকল গ্লানি ও ক্লান্তি,
খুলে যাক নতুন সম্ভাবনার দ্বার,
ভরে উঠুক জীবনের প্রতিটি দিন আনন্দ, হাসি ও সফলতায়।
বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ বয়ে আনুক সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা।
চলুন, সবাই মিলে গড়ে তুলি একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ ও শান্তিময়।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।
বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে সাজে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে।
বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে।
এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ, কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে মোঘল সম্রাট আকবরের সময় বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় বাংলা সন।
অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। যা পুরোপুরি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন ক্রেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।
নারায়ণগঞ্জও পিছিয়ে নেই নতুন বছরকে বরণ করতে।
সোনারগাঁ যাদুঘর লোককারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী লোকজ উৎসব এর আয়োজন করা হয়েছে। আরো খোলা থাকবে ঈসাখাঁর রাজধানী পানাম নগরী। সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্ট এবং সোনারগাঁ রয়েল পার্ক ও অন্যান্য বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান। বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তুলেছে প্রতিষ্ঠানগুলো এই বাঙালির নতুন নববর্ষ কে সাদরে গ্রহণ করার জন্য। আয়োজন করেছে নানা রকমের অনুষ্ঠানমালা।
বাঙালির এই নতুন বছরকে সার্থক করার জন্য সোনারগাঁয়ের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে।