তরিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দেশের ঔষধ শিল্পে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল কোম্পানিকে ভোক্তাদের কথা গুরুত্ব দিয়ে নতুন নিয়ম তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিটি কোম্পানির উচিত ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে
দেশের মানুষের ভালো চিন্তা করে নতুন করে নিয়ম তৈরি করা। মুনাফা তো অনেক করেছেন এবার দেশের কথা এবং দেশের মানুষের কথা ভাবার সময় এসেছে আপনাদের। সরকারকে সহযোগিতা করুন
সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, এখন থেকে আর কোনো ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি রোগীর প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতে পারবে না। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, রোগীর অনুমতি না নিয়ে প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলায় অনেক সময় রোগীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকেই এর বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে বলা হয়েছে, “প্রতিটি ভালো উদ্যোগ হোক ভোক্তাদের স্বার্থে। দেশের মানুষ যদি ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়, তবে ইনশাআল্লাহ দেশে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত হবে।”
ইতিমধ্যে ঢাকা জেলার আওতাধীন প্রত্যেকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশও দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোন অবস্থাতেই হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসক প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) চাইতে বা দেখতে এবং ছবি তুলতে পারবে না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান শনিবার এক লিখিত আদেশে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। ঢাকা জেলার আওতাধীন প্রত্যেকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, কোন অবস্থাতেই হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসক প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) চাইতে বা দেখতে এবং ছবি তুলতে পারবে না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ও রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভেরা চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। এছাড়া অন্য কোন দিন বা সময়ে হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান কিংবা মোটরসাইকেলও রাখতে পারবেন না।
চিঠিতে সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান উল্লেখ্য করেন, সাধারণ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে সেবা দেয়ার লক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সকল কোম্পানিকে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।